নতুন ঋতুর পরিবর্তন বা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ চুলকানো এবং পানি পড়া, কখনো কখনো গলা চুলকানো বা কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রাকৃতিক খাবারে এই অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হলুদ
হলুদ অ্যালার্জির জন্য খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া প্রতিকার। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন একটি যৌগ যা এর প্রদাহ বিরোধী প্রভাবের জন্য পরিচিত। হলুদ প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মধু
প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি সিজনাল অ্যালার্জিতে পরীক্ষিত প্রতিকার। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মধু খেলে তা আপনার শরীরকে স্থানীয় পরাগরেণুর প্রতি সহনশীলতা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এমনটাই ব্যাখ্যা করেন পুষ্টিবিদ। তবে মধু খাঁটি এবং ভেজালমুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ খাবার
কোয়ারসেটিন হলো একটি বায়োফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হিস্টামিন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্রকলি, পেঁয়াজ, গ্রিন টি এবং সাইট্রাস ফলের মতো খাবারে পাওয়া যায়। সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-ও সরবরাহ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহায়তা করে এবং হালকা অ্যালার্জির কমায়।
আনারস
আনারসে থাকা ব্রোমেলেন একটি এনজাইম কমপ্লেক্স। এটি অ্যালার্জির সাথে যুক্ত শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতেও কার্যকরী। ২০২৩ সালের একটি বিশ্লেষণে অ্যালার্জি বা সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট সাইনোসাইটিস উপশমে ব্রোমেলেনের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। আপনার খাদ্যতালিকায় আনারস যোগ করুন। এটি প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে এবং শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পেপারমিন্ট চা
আপনার যদি নিয়মিত অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তবে আপনার কপাল এবং গালে একটি উষ্ণ পিপারমিন্ট টি ব্যাগ লাগাতে হবে। এটি সত্যিই সাইনাসের সমস্যাযুক্ত লোকদের সাইনাসের অস্বস্তি প্রশমিত করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে অ্যালার্জি কমাতে সহায়তা করে।
পড়ুন: দাবদাহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ পরামর্শ
দেখুন: যে সব ফল খেয়ে ওজন বাড়ে
এস