34.5 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ

বকেয়া বেতনের দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমীকরা। মঙ্গলবার দুপুরে এএসটি গার্মেন্টস লিমিটেড এর পোশাক কারখানার প্রায় দেড় থেকে দু’শ শ্রমিক বকেয়া পাওনার দাবীতে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসময় তারা সড়কে বসে পড়লে যানবাহন চলাচল বন্ধ যায়। পোশাক শ্রমিকদের অভিযোগ এসময় বেশ কিছু পরিবহন শ্রমিক তাদের মারধর করে। প্রায় আধাঘন্টা মহাসড়কের ঢাকা মুখি লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, এএসটি গার্মেন্টের মালিকপক্ষ বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করে পনেরো দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরে রাতের আধারে কারখানার মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে মালিক পক্ষ। তারা পাওনা আদায়ের জন্য মঙ্গলবার সকালে কারখানার সামনে আসলে সেটি বন্ধ পায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মালিকপক্ষ কারখানাটির মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসময়ে বেশ কিছু গণপরিবহনের শ্রমিকরা নারী পোশাক শ্রমিকদের মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনূর আলম বলেন, শ্রমিকরা তাদের বকেয়া পাওনার জন্য মঙ্গলবার সকালে কারখানার সামনে আসলে জানতে পারে মালিকপক্ষ তাদের বকেয়া বেতন না দিয়ে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেই। পরে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করি।

এবিষয়ে এ এস টি গার্মেন্টসের উৎপাদন ব্যাবস্থাপক মিজানুর রহমানের ব্যাবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই। তাই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কেন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।

পড়ুন: অন্তিম ঘরের কারিগর তারা, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টিই একমাত্র লক্ষ্য 

দেখুন: সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ কোটি টাকার মালামাল লুটের ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর হাতে আরও একজনসহ আটক ৩

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন