বাজারে সয়াবিন তেলের ঘাটতি নিয়ে, কিছুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল হুলস্থুল। লিটারে ১৪ টাকা দাম বাড়ার পরেই বাজার সয়লাব সয়াবিন তেল। সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে ঊর্ধ্বমুখী চাল, পেঁয়াজের দর। বেড়েছে মুরগি-সবজির দামও। নিত্যপণ্যে রোজার মাসের স্বস্তি এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে।
মাত্র কয়েক দিন আগেও বাজারে সয়াবিন তেল সংকট। দোকানে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতেই কোম্পানিগুলো বাড়িয়ে দিয়েছে, দাম প্রতিলিটারে ১৪ টাকা। এখন তেল পাওয়া গেলেও, ১৮৯ টাকা লিটারে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

চালেও থেমে নেই বাড়তির ধারা। মিনিকেট, মোজাম্মেল, নাজিরশাইল সব ধরনের চালেই কয়েক দফা বেড়ে ফের বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা । দেশি পেঁয়াজের দামও এক লাফে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
বৃষ্টির কারণে খামারে কমেছে সরবরাহ, ট্রাক চলাচলেও সমস্যা, ফলে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি যেখানে কেজিতে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে এলেও, দাম কমেনি। বরং প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। পটোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ আর কাঁচা পেঁপেও ৫০-৬০ টাকার নিচে নামছে না।
সপ্তাহ ব্যবধানে একটি নয়, দাম বেড়েছে একাধিক পণ্যের। তবে সাধারণ মানুষ বলছেন, সিন্ডিকেট ভেঙে এমন একটা বাজার গড়তে হবে, যেখানে পণ্যের দাম হবে মানুষের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পড়ুন : ভরা মৌসুমেই বাড়ছে চালের দাম!