24 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০২৫

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য পাল্টাবে

ক্ষমতা হারানো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়ে সপরিবারে তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার পতন মধ্যপ্রাচ্যে রুশ কর্তৃত্বে বড়সর ধাক্কা দিয়েছে। আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসানে আরও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্য।

বিশ্ব এখনো সিরিয়ায় আসাদের শাসনের অবসান এবং ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে ধ্বংস হওয়া দেশটির পরিস্থিতি বুঝে ওঠার চেষ্টা করছে। তবে  সামনের দিনগুলোতে উত্তেজনা আরও বাড়তে  পারে। কারণ এখন একাধিক গোষ্ঠী ওই দেশে ক্ষমতার জন্য লড়াইয়ে নামবে।

১৩ বছর ধরে জনগণের আন্দোলনের বিরুদ্ধে টিকে থাকা আসাদ এখন একেবারেই একা। রাশিয়া ২০১৫ সালে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল, কিন্তু এবার তাকে শুধু আশ্রয় দিয়েছে। ইরানও তাকে ফিরিয়ে দিয়ে জানিয়েছে, আসাদ নিজেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

নয় বছর ধরে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে রাশিয়া ব্যাপক বিনিয়োগ করলেও, চিন্তিত হওয়ার হওয়ার মতো যে আরো বিষয় রয়েছে, সেটিই রুশ জনগণকে বলে দেওয়া হয়েছে।

সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে দেশটিতে রুশ কূটনৈতিক মিশন ও সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা।

এখন বাশারের পতন যে কোনো ধাক্কা নয়, বরং পেছনে অন্য কিছু ছিল, সেটি প্রমাণের জন্য রুশ কর্তৃপক্ষকে রীতিমত লড়াই করতে হবে। ‘বলির পাঁঠা’ কাকে বানানো যায়, সেই চেষ্টাই তারা করছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই মধ্যপ্রাচ্যের ফ্রন্টে পশ্চিমা ব্লকের কাছে রাশিরায় হার হয়েছে, একথা বলাই যায়।

টিএ/

দেখুন: তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প কেন এত ভয়াবহ?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন