১৫/০৭/২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
30.3 C
Dhaka
১৫/০৭/২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে বিক্ষোভ

সিলেটের জাফলংয়ে পরিদর্শনে এসে স্থানীয় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জাফলং পিয়াইন নদী পরিদর্শন শেষে দুই উপদেষ্ঠার গাড়ি আটকিয়ে প্রায় ১৫-২০ মিনিট বিক্ষোভ করেন।

এসময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে ভূয়া” ভূয়া” বলে শ্লোগান দেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাফলং ইসিএ এলাকায় পরিবেশ ধ্বংস করে কোন ভাবেই বালু-পাথর উত্তোলন করতে দেয়া যাবে না।পর্যটকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি লীজ দেয়া হবে না। পর্যটনের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে এই এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। আপাতত এই এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। দ্বিতীয়ত এখানে যে ক্রাশার মেশিন আছে সেগুলো সরাতে হবে। এজন্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে। সিলেটের যে পর্যটনকেন্দ্র গুলো আছে এই গুলো ডেভলেপমেন্ট করলে সিলেটে যে লন্ডন থেকে টাকা আসে তার থেকে বেশি টাকা আসবে। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে আমরা কোনদিকে যাবো? পাথর উত্তোলন করে কি ধ্বংসের দিকে যাবো নাকি এটা পরিবেশগত সৃষ্টি করে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো। সিলেটের সকল পর্যটন নিয়ে সামগ্রীক উন্নয়ন নিয়ে একটি পরিকল্পনা করবো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে শ্রমিকরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিচ্ছেন। পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে তারা হরিপুর গেস্ট হাউসে পৌঁছেন।”

গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আকস্মিকভাবে স্থানীয়রা উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত তাদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে। উপদেষ্টারা নিরাপদে হরিপুর গেস্ট হাউজে পৌঁছেছেন।”

পড়ুন : সিলেটের জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন