কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝেও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার কৃষকরা নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ধান কাটতে পারবে । তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষকদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোখলেসপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ধান কর্তন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যা বাড়লেও জমির পরিমাণ সে অনুযায়ী বাড়েনি। কৃষিজমি রক্ষায় নতুন করে ভূমি আইন ও ভূমি ব্যবহার নীতিমালা প্রণয়নের চিন্তাভাবনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষকদের প্রচেষ্টায় এবার বোরো মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছে। গত বছর চাল আমদানি করতে হয়নি, এ বছরও প্রয়োজন হবে না।’
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে তিনি নির্দেশ দেন যেন কৃষকদের জন্য কম মূল্যে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা হয় এবং পানির বিল হ্রাস করা হয়, যাতে উৎপাদন খরচ কমে এবং কৃষক হয়রানির শিকার না হয়।
কৃষিজমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে ২৫৬টি ভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি কমাতে কাজ করছে। ১৮ কোটি মানুষের দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হলেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
পড়ুন: আড়িয়াল বিলের বৈচিত্র্য রক্ষার চেষ্টা চলছে, মাটি কাটা বন্ধে বসবে চেকপোষ্ট : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এস