অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন সীমান্তের অপরাধের রাজা শাহীন ডাকাত। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নাইক্ষ্যংছড়ি, রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, বাইশারী ও ঈদগড়ের মানুষের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক গর্জনিয়ার শাহীন ডাকাত। তার নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে। যারা সীমান্তের ওপার থেকে মাদক আর গরু নিয়ে আসে আর এপার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাচার করে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক ও গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তারা।
গত ১ জুন সংগঠিত ঘটনার পর তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার গর্জনিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান।
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে। বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, চোরাচালান সাম্রাজ্য মজবুত করার জন্য শাহীন সীমান্তে এমন কোন অপরাধ নেই যা করেননি। তার হাতে অসংখ্য মানুষ খুন হয়েছেন। খোদ তার নিজদলের মানুষও খুন হয়েছেন শাহীনের হাতে। তার বিরুদ্ধে থাকা ২২টি মামলার মধ্যে অন্তত ৮টি হত্যা মামলা। হত্যা, দিনদুপুরে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ সকল অপরাধ বেপরোয়াভাবে করেছেন তিনি। ফলে সীমান্ত এলাকার ঘরে ঘরে এখন শাহীনের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে লোকজন।
এদিকে শাহীনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অভিযানে অন্যকেউ আটক হয়েছে কিনা, কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনো জানানো হয়নি। এই বিষয়ে গর্জনিয়ায় সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছেন সেনাবাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের ঝিলংজা আর্মি ক্যাম্পের মেজর শাহরিয়ার।
পড়ুন: মহেশপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
দেখুন: এবার ঈদ কবে হবে, শনিবার না রোববার?
ইম/