জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন থামাতে দমনপীড়নে অংশ নিলে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে দেয়া হয়েছিল সতর্কবার্তা।’
গত বুধবার (৬ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে হার্ডটক অনুষ্ঠানে ফলকার টুর্ক এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে টুর্কের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার।

এই অনুষ্ঠানে বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান। তবে এর উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ফলকার টুর্ক।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমি আপনাকে উদাহরণ দিচ্ছি, যেখানে এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। আমি গত বছরের বাংলাদেশের উদাহরণ দিচ্ছি। আপনি জানেন জুলাই-আগস্টে সেখানে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।’
বাংলাদেশে তখন ছাত্রদের আন্দোলন দমনে ব্যাপক নিপীড়ন চলছিল উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘তাদের জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি– যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়ত আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম।’

তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।’
এনএ/