দলের বাকিদের ব্যর্থতায় শুরুতে হাল ধরেছিলেন সেদিকউল্লাহ আতল। আর শেষদিকে বিপর্যয় সামলে ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখান আজমউল্লাহ ওমরজাই। দুই ব্যাটারের কল্যাণে সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেলো আফগানিস্তান।
লাহোরে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়ার পথে সেদিকউল্লাহ ৮৫ আর আজমতউল্লাহ ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অজিদের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন স্পেন্সার জনসন ও অ্যাডাম জাম্পা।
হারলে বিদায় আর জিতলে নিশ্চিত সেমিফাইনাল। এমন সমীকরণে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে লাহোরে মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ধাক্কা সামলে ভালো অবস্থানেই ছিল আফগানিস্তান। দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেদিকউল্লাহ আতল। তবে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৫ বল খেলে ০ রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজ আউট হওয়ার পর ইব্রাহিম ও রহমতের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন সেদিকউল্লাহ। দলীয় ৭০ রানে ইব্রাহিম ব্যক্তিগত ২২ আর ৯১ রানে রহমত ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট হলেও ক্রিজে আধিপত্য চালিয়ে যান সেদিকউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির সঙ্গে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ছক্কা হাঁকিয়ে ৬৪ বলে ফিফটি হাঁকানো এ ব্যাটার সেঞ্চুরিরও কাছাকাছি গিয়েছিলেন।
কিন্তু স্পেন্সার জনসনকে কাভারের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়েন সেদিকউল্লাহ। ৯৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় থামে তার ইনিংস। তার বিদায়ের পর ধস নামে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপেও। ৪৯ বলে ২০ রান করে দলীয় ১৭৬ রানে বিদায় নেন হাশমতউল্লাহ। ৬ রানের ব্যবধানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে আউট হন মোহাম্মদ নবি (১)। দলীয় ১৯৯ রানে বিদায় নেন গুলবাদিন নাইব (৪)। শেষদিকে বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন আজমউল্লাহ ওমরজাই। তার সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে আউট হন রশিদ খান। অন্যদিকে আড়াইশ পার করে ৬৭ রানের ইনিংসে দলকে ২৭২ রানে পৌঁছে দিয়ে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন আজমতউল্লাহ। ৬৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ ছক্কা ও ১ চারের মারে।
