নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ানো গনি মিয়া (৫০) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা পাওয়া মিলেছে। আজ শনিবার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা একটি সামাজিক সংগঠন ওই ব্যক্তিকে গোসল করাতে গিয়ে তার কাছ থেকে ওই টাকা মিলে। এছাড়া তার কাছে থাকা বস্তায় জমির একাধিক দলিল দস্তাবেজও পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গায়ে নোংরা পোশাক আর কাঁধে বড় বড় গাট্টি (বস্তা) নিয়ে চলাফেরা করেন গনি মিয়া। দেখেই বোঝা যায় দীর্ঘদিন গোসল করেন না তিনি।ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা একটি সামাজিক সংগঠন উল্লেখিত দিন তাকে গোসল করাতে উদ্যোগ নেন। তাকে ধরে গায়ের পোশাক খুলতে চাইলে এ সময় তার শার্টের হাতা, কলার ও পোশাকের বিভিন্ন জায়গায় মোড়ানো অবস্থায় অনেক টাকা পাওয়া যায়।

আবার বড় বড় বস্তা থেকে বিপুল পরিমাণ এক হাজার, পাঁচশত ও একশত টাকার নোট পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে টাকাসহ ওই ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে থানা পুলিশ ও উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে টাকার হিসেব করা হয়। এতে দেখা যায় তাঁর কাছে ছিল তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। টাকাগুলো বর্তমানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমাজকর্মী রশিদুল ইসলামের কাছে গচ্ছিত রয়েছে।
এতো টাকা কী করে এলো একজন ভারসাম্যহীন ব্যক্তির কাছে – এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয়রা জানান, শহরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান এই লোক। তাকে অনেকেই টাকা দিয়ে সহায়তা করেন। সেই টাকাই খরচ না করে তিনি বস্তা বা শার্টের বিভিন্ন জায়গায় গুঁজে রাখেন।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই লোকটি মূলত শহরের জিআরপি এলাকায় বেশিরভাগ সময় থাকেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর বাড়ী রংপুরের আলমনগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকায়। তার পরিবারের লোকজনকে খোঁজা হচ্ছে।