১৪/০৬/২০২৫, ১৩:৪৪ অপরাহ্ণ
35.3 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৩:৪৪ অপরাহ্ণ

সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুম গ্রেপ্তার

হজ্ব পালনের নাম করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পিরোজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জি: মাসুদুর রহমান মাসুমকে শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

আজ সোমবার (১২ মে) সকালে একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশনের চেক আউট হওয়ার পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার (ওসি ) মফিজুর রহমান।

সোনারগাঁও থানার ওসি মফিজুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ফ্লাইটে হজ্ব পালনের নাম করে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়  গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় সামনে সারিতে থেকে মানুষ হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন মাসুম। গ্রেফতারের পর তাকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনারগাঁয়ের নানা অপরাধের হোতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নদীসহ সরকারি বেসরকারি জমি দখল করে মেঘনা গ্রুপকে হস্তান্ত করে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের পর ওসমান পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে ভাগবাটোয়ারা করতেন।

মাসুমের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকার পরও এতোদিন বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে দেশে থেকে কৌশলে হজ্বের নাম করে পালানোর চেষ্টা করে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবার ও স্থানীয় সাবেক সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে মিলে লুটপাটের মহোৎসব চালাতেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান। প্রতিনিয়ত মেঘনা গ্রুপসহ বিভিন্ন কলকারখানা থেকে চাঁদাবাজির বিশাল অর্থ উত্তোলন করে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে এসে শামীম ওসমানের কাছে বস্তায় বস্তায় পুরো টাকার বান্ডিল হস্তান্তর করতেন এই মাসুম। শামীম ওসমান ছাড়াও এই পরিবারের সবাইকে নানাভাবে খুশি করেই অপরাধ করতেন তিনি। নারী কেলেঙ্কারিসহ এই মাসুমের বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ।

এনএ/

দেখুন: বাজারে এসেছে সোনারগাঁওয়ের কদমী লিচু

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন