ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরব যদি ইচ্ছা করে, তারা নিজেদের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে। এর আগের দিন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি যদি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হয় কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট করেন যে, ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন কোনো চুক্তিতে তিনি সম্মতি দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্নে আমি কোনো আপস করব না। ৭ অক্টোবরের হামলার পর এটি আরও পরিষ্কার হয়েছে। গাজাই ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, যা হামাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর এর ফল কী হয়েছে? হলোকাস্টের পর ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছে।
নেতানিয়াহু জানান, সৌদি আরবের পক্ষে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি একটি প্রস্তাব হতে পারে, তবে এর জন্য সৌদি আরবের ইচ্ছা এবং সিদ্ধান্তই মুখ্য। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েল বরাবরই শান্তি প্রক্রিয়া ও আলোচনায় বিশ্বাসী, তবে এ ব্যাপারে সৌদি আরবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর আলোচনার পরপরই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের কোনো আলোচনা করবে না।
এ মন্তব্যের পর, অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, সৌদি আরবের ভূমিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের সমীকরণে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সমাধানের পথ সুগম হতে পারে, যদি সৌদি আরব তাদের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকা রাখে।
বিশ্ব রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের এই ধরনের পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির লক্ষ্যে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, তবে এটি খুবই জটিল এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়িত হতে পারে না।
পড়ুন:ওমরায় মেনিনজাইটিস টিকার বাধ্যবাধকতা বাতিল করল সৌদি
দেখুন:চুক্তির মারপ্যাচ, লোভনীয় প্রস্তাব, প্রতারণার ফাঁদে সৌদিতে পপির কান্না! |
ইম/