সৌরমণ্ডলে ১৯৯২ সালে দুজন বিজ্ঞানী নতুন দুটি গ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন। নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে, প্লুটো ছাড়া আরেকটি গোল বস্তুর শনাক্ত করেন বিজ্ঞানিরা।
সৌরজগৎ সৃষ্টির ইতিহাস আর এর এখনকার গঠন নিয়ে আগের এবং বর্তমান ধারণা সম্পূর্ণ আলাদা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের বাইরে একটার পর একটা গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহ পাওয়া যাবে কি না কিংবা মানুষ সেখানে নতুন বসতি গড়তে পারবে কিনা এসব নিয়েও বিপুল উৎসাহ নিয়ে ভাবছে মানুষ। এই গবেষণা দার্শনিকভাবে মহাবিশ্বে মানুষের একাকিত্বকে কিছুটা লাঘব করতে পারে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মতো সাতটি গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। সেগুলো পৃথিবী থেকে ৪০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে। ঘুরছে ট্রাপিস্ট-১ নামে একটি লাল বামন নক্ষত্রের কক্ষপথে। গ্রহগুলোর ভর ও ব্যাস অনেকটা পৃথিবীর মতো। ট্রাপিস্ট-১ সূর্য থেকে মাত্র ০.০১ জ্যোতির্বিদ্যা একক দূরত্বে অবস্থান করছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় মিলিয়ন কিলোমিটার বা ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
অন্যদিকে লাল বামন নক্ষত্র দেখতে অনেকটা সূযের্র মতোই। এটি মূলত নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া। এর কেন্দ্রে হাইড্রোজেন পুড়ে ও সংযোজিত হয়ে হিলিয়াম তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, একটি লাল বামন তারা প্রায় ১ ট্রিলিয়ন বছর বা ১০০০ বিলিয়ন বছর বাঁচতে পারে। সূর্যের আয়ু যেখানে ১০ বিলিয়ন বা ১০০০ কোটি বছর। আলো কম বিকিরণ করে বলেই লাল বামন তারার আয়ু বেশি।
Leave a Reply