নিখোঁজের ৯ দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি শিশুটিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরের পাড়ের ঝোপঝারের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত স্কুলছাত্র কাফি ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের কোন সন্ধ্যান না পেয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। শনিবার দুপুর দুইটায় শ্যাওলাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের ধারনা, তাকে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে রাখা যায়।
এদিকে, গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) নাগরিকের অনলাইনে জয়পুরহাটে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ স্কুলছাত্র কাফি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশের ৩দিন পর ওই স্কুলছাত্র অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্র নাথ সিংহ জানান, যেহেতু শিশুটির লাশ গলে-পচে গেছে, তাই কিভাবে মারা গেছে বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পড়ুন: নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ড্রইং স্কুল দিনাজপুরে উন্মুক্ত চিত্রাঙ্গণ প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ
দেখুন: পঞ্চগড়ে ছাত্রীকে যৌ/ন হ/য়/রা/নি/র অভিযোগে শিক্ষককে গ/ণ/ধো/লা/ই |
ইম/