জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ১৫ জনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা করেছে। কমিশন জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ অন্যান্যদের আগামী সাত দিনের মধ্যে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হতে বা অনলাইনে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরও সাক্ষ্যগ্রহণ দিবেন-
১. প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক (অব.)
২.ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস,
৩. গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব শেখ ফজলুল করিম সেলিম,
৪. ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক,
৫. জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম
৬. ঢাকা – ৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম
৭. ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ শামসুল আলম (অব.)
৮. সাবেক ডিজি ডিজিফআই লেফটেনেন্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর (অব.)
৯. সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ (অব.),
১০. সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ (অব.),
১১. সাবেক র্যাবের ডিজি হাসান মাহমুদ খন্দকার,
১২. সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ,
১৩. সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ,
১৪. সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম
কমিশন জানিয়েছে, তদন্তের জন্য এই ব্যক্তিরা অনলাইনে বা লিখিতভাবে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। কোনো ধরনের অসহযোগিতার ঘটনা ঘটলে কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে, যাতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের জন্য কমিশন কাজ করছে এবং আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে সবার কাছে তদন্তে সহায়তার জন্য তথ্য প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পড়ুন: পিলখানা নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
দেখুন: পিলখানা হ*ত্যা মামলার আপিল শুনানি এ বছরই: অ্যাটর্নি জেনারেল |
ইম/