বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশের নারী ফুটবল। কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের বনিবনা হচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরেই। অনুশীলন বয়কট করেছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাপানি বংশোদ্ভূত মাতসুশিমা সুমাইয়া জানালেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা! বেশ কিছুদিন ধরেই ধর্ষণ আর মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। যার কথা ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন।
সুমাইয়া ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি সুমাইয়া। বাংলাদেশ নারী দলের একজন ফুটবলার। ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থী হয়েও আমি স্কুল টুর্নামেন্ট দিয়ে ফুটবল শুরু করি এবং ২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন্সশিপ জয়ী দলের অংশ ছিলাম এই ফুটবল আমার জন্য এক তিক্ত-মধুর যাত্রা।’
তিনি লিখেছেন, ‘আমি ফুটবল শুরু করি, তরুণদের ফুটবলে আগ্রহী করতে, যাদের বাবা-মা শুধু পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে বলেন। আমি দেখাতে চেয়েছিলাম, চেষ্টা এবং সংকল্প থাকলে যেকোন বাধা পেরোনো সম্ভব। কিন্তু আজ আক্ষেপ নিয়ে বসে আছি- আক্ষেপ আমি আমার পড়াশুনা, আমার পরিবার, ঈদের আনন্দ ত্যাগ করে দেশের জন্য খেলেছি, কিন্তু কেউ আমাদের ত্যাগের প্রশংসা করেনি।
আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে ফুটবল খেলার জন্য লড়াই করেছি এই বিশ্বাসে যে, দেশ একদিন আমার পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কেউ একজন ক্রীড়াবিদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সত্যিই চিন্তা করে না। আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি সে সম্পর্কে আমার এবং সতীর্থদের জন্য ইংরেজিতে একটি চিঠি লেখার ন্যূনতম ক্ষমতা আমার আছে।
গত কয়েকদিন ধরে আমি অগণিত মৃত্যু এবং ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি- এমন শব্দ যা আমাকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে যা আমি কল্পনাও করিনি। আমি জানি না এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে আমার কতদিন লাগবে। তবে আমি জানি যে কেবল তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাউকেই এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।
সাফ জয়ী কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বডি শেমিং, বাজে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন নারী দলের ফুটবলাররা। এসব উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন বেশ কিছু নারী ফুটবলার। জানা গেছে, ওই অভিযোগই চিঠি আকারে ইংরেজি ভাষায় বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালকে দিয়েছেন নারী ফুটবলাররা। চিঠিটি ইংরেজিতে লিখে দেওয়ার কাজটি করেছেন সুমাইয়া। এরপর থেকে হুমকি পাচ্ছেন তিনি।
পড়ুন: টিকটক ভিডিও করায় মেয়েকে গুলি করে হত্যা
দেখুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড : মৃত্যুদন্ড পাওয়া ছয় আসামি এখন কোথায়?
ইম/