মামলার বাদি চিনে না আসামীকে, আসামীরও অচেনা মামলাকারী? অথচ গ্রেপ্তার হচ্ছেন অভিযুক্ত, হচ্ছেন অযথা হয়রানির শিকার। সংস্কারের বার্তা বইছে বিচার বিভাগ-পুলিশে। তার আগে চলছে এমন চিত্র। উদ্দেশ্যমূলক মামলায় প্রকৃত দোষী পার পাওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
কাজী মোহাম্মদ জয়নাল, পেশায় একজন আড়ৎ ব্যবসায়ী। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে বসবাস তার ।
ছাত্র আন্দোলনে রিতা আক্তার নিহতের ঘটনায় তিনিসহ ৩৯৫ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন আশরাফ আলী। অথচ আসামী চিনেনা তাকে? আর অবাক ব্যাপার, বাদীও চিনে না আসামী কে! না জেনেই করেছেন মামলা। হাতেনাতে মিললো তার প্রমাণ।
কাজী জয়নাল যাচ্ছিলেন জুমার নামাজে । যে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি তিনি, সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে । রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকা ষাটোর্ধ মানুষটি নিরপরাধ বলেই জানে স্থানীয়রা।
একই মামলায় আসামী ব্যবসায়ী আফরোজ উদ্দিন। অপরাধ, ২০০৫ সালে তার ভাইকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঐ সময়ে মামলা করায় এবার তার উপরে নেমে এসেছে খড়গ। সরকার বদলের পর তিনিও ঢুকে গেছেন গণমামলার নামের তালিকায়।
এমন আরো কয়েকটি মামলার অনুসন্ধানে নাগরিক টিভি হাজির হয় যাত্রাবাড়ি থানায় যেখানেও দেখা মিললো একই চিত্র। সাংবাদিকসহ ১১৫ জনের এখানে করেছেন হত্যা মামলা। বাদী আব্দুর রাজ্জাক নিজেই জানেনা আসামীদের নাম-পরিচয়। বিশেষ করে সংবাদিকদের নাম থাকায় ক্ষুব্ধ বাদী নিজেই।
এদিকে, এমন গণমামলায় উদ্দেশ্যমুলকভাবে কাউকে হয়রানি করা হলে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করার কথা বলছে পুলিশ ।
সরকার পতনের পর রাজধানীসহ সারা দেশে একের পর এক মামলা হয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ক্ষমতাসীনদের নামে। এই তালিকায় ঢুাকানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকেউ। এমন অরাজগতা, হয়রানি বন্ধ হোক চাইছেন ভুক্তভোগীরা।