আছিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশ আছিয়ার কাছে ক্ষমা চাই। এই অন্তবর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে আছিয়ার নামাজের জানাযায় উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসামিরা শিশুটির বড় বোনের শশুর মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখ (৪২), দুলাভাই সজীব শেখ (২২), তার বড় ভাই রাতুল শেখ ও রাতুলের মা জায়েদা খাতুন এখন পুলিশ হেফাজতে।
মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয় গত ৬ মার্চ। এক সপ্তাহ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
চাঞ্চল্যকর ধর্ষিত শিশু আসিয়ার মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ধর্ষণের অভিযুক্ত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঘেরাও করে। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের ভায়না মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা স্লোগানে স্লোগানে ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী কয়েক ঘন্টা নির্বিকার থাকে ছাত্রদের অবরোধ মুখে।
বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার যোগে মাগুরা স্টেডিয়ামে সদ্য ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম এবং হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক সহ ঢাকা দক্ষিণ যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে আছিয়ার মৃতদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মাগুরা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আসিয়ার মৃত্যুর খবরে চলে শোকের মাতম। বাড়িতে প্রতিবেশী গ্রামবাসী সহ আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এনএ/