39.2 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫

হাইকোর্টের রায়ের পরও চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে মানুষ

পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এর ফলে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বন্ধ হয়ে গেছে চিকিৎসা সেবা।

বুধবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের এ কর্মসূচি চলছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগেও সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা স্বল্প আয়ের রোগীরা।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। পাঁচ দাবিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন।

এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না- এমন দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। পরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে রায় এসেছে যে, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না। তবে, আরও চারটি দাবি আছে আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের। সেই দাবিগুলো হলো-

১. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।

২. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরির প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।

৩. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফদের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়াও SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।

৪. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। 

পড়ুন : ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, বন্ধ জরুরি বিভাগ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন