নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কাদির-হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সৌদি প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন এবং একই এলাকার শাহ্ আলমের দুই ছেলে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। বিষয়টির মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়। আলমগীর এক মামলায় কারাগারে ছিলেন এবং সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে এসে সুমনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৬-৭টি মাইক্রোবাসে আসা অর্ধশতাধিক হামলাকারী সুমনের বাড়িতে হানা দেয়। তারা বসতঘরের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সুমনের স্ত্রী, শাশুড়িসহ পরিবারের অন্য নারী সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে। পরে হামলাকারীরা পুরো ঘরে তাণ্ডব চালিয়ে নগদ টাকা, সোনার গহনাসহ মালামাল লুটে নেয়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের খাট, সোফা, লেপ-তোষক, হাড়ি-পাতিলসহ তৈজসপত্র ঘর থেকে বের করে পাশের পুকুর ও সড়কে ফেলে দিয়ে যায়।
নুরুল আফসার সুমন বলেন, আলমগীর একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কাজে জড়িত থাকায় সে জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে সে আমাকে বার বার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম। কিন্ত তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেনি বলেই আজ আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরো বলেন, আমার ২২ বছরের প্রবাস জীবনের সকল আয়-উপার্জন আজ শেষ হয়ে গেছে। সন্ত্রসীরা ৩৬ ভরি স্বর্ণ, ৭ লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিষপত্র, চেকবই সবকিছু নিয়ে গেছে এবং ধবংস করে দিয়ে গেছে। সিনেমার কায়দায় এমন সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ও বিষ্মিত স্থানীয় লোকজন।

সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সৃস্টি করে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে পাওয়া যায়নি।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে।
এনএ/