ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হয়েছেন। গাজার খান ইউনিস শহরের আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি ও তার স্ত্রী নিহত হন। রোববার (২৩ মার্চ) এই খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সালাহ আল-বারদাউইল হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ছিলেন এবং তার মৃত্যুটি ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলার পর, আল জাজিরা জানায় যে, গাজার খান ইউনিস শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়। এই হামলাগুলি গাজার দক্ষিণ অংশকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়, যেখানে সালাহ আল-বারদাউইল এবং তার স্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়। শুরু হওয়ার পর, গাজার অন্যান্য অঞ্চলেও সংঘর্ষ বাড়তে থাকে এবং সেখানে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল, স্কুল ও মসজিদ সহ বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে।
গাজার পরিস্থিতি এখনো সংকটপূর্ণ। আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আযম জানিয়েছেন, তিনি এখনও গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোনের উড্ডয়নের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “এখানে পরিস্থিতি খুবই খারাপ, বিশেষ করে হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক।”
এদিকে, গাজার অন্যতম প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র মেমাদানি হাসপাতাল বর্তমানে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী ও শয্যার অভাবে আহত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে গুরুতর আহত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালটি বর্তমানে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে এবং এই সংকটের কারণে আরও অনেক রোগী তাদের জীবন বাঁচানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।

গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনী একতরফাভাবে হামলা শুরু করেছে, যা আরও বেশি সংঘর্ষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতা সালাহ আল-বারদাউইলকে হত্যার পর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফিলিস্তিনিরা নতুন করে আগের তুলনায় আরো বড় ধরনের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
বিশ্বে প্রভাবশালী বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এবং এই গুলি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অপরাধ হতে পারে। তবে, ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং তারা দাবি করছে, চালানোর মাধ্যমে তারা হামাসের তৎপরতাকে নষ্ট করতে চায়।
গাজার পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। তবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি পূর্ণ সমর্থন আছে ট্রাম্পের: হোয়াইট হাউস
দেখুন: শেরপুরে প্রতিপক্ষের আহত বিএনপি নেতার মৃ*ত্যু |
ইম/