২৩/০৫/২০২৫, ১৩:৫১ অপরাহ্ণ
31 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ১৩:৫১ অপরাহ্ণ

হায়দরাবাদকে সহজেই হারালো মুম্বাই

ঘরের মাঠের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে লড়াই করতে পারলো না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সের দলকে ৪ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে সহজেই হারালো হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই।

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ১৬৩ রানের। রোহিত শর্মার ব্যাটে রান তাড়ায় ভালো সূচনা পায় মুম্বাই। ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করে দিয়ে যান রোহিত। আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন ২৩ বলে করেন ৩১।

এরপর দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন উইল জ্যাকস আর সূর্যকুমার যাদব। ১৫ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২৬ আসে সূর্যের ব্যাট থেকে। জ্যাকস ২৬ বলে করেন ৩৬ রান।

জ্যাকস ফেরার পর যেন রান তাড়া আরও সহজ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। হার্দিক পান্ডিয়া নেমেই মারা শুরু করেন। ৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২১ রান করে যখন ফেরেন হার্দিক, মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য তখন দরকার মাত্র ১ রান। তিলক ভার্মা ১৭ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

প্যাট কামিন্স ২৬ রানে ৩টি আর ইশান মালিঙ্গা ৩৬ রানে নেন ২টি উইকেট।

এর আগে মুম্বাইয়ের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংস থেমে যায় ৫ উইকেটে ১৬২ রানেই।

অথচ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল হায়দরাবাদ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই তোলে ৪৬ রান। ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ৪৫ বলে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফেরেন অভিষেক শর্মা। ২৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।

তিন নম্বরে নেমে ইশান কিশান আউট হন ৩ বলে ২ করেই। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারেননি ট্রাভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে এই ব্যাটার ২৯ বল খেলে করেন ২৮। ৮২ রানে ৩ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এরপরই রানের গতি কমে যায়।

জুটি গড়ার চেষ্টা করেন নিতিশ কুমার রেড্ডি আর হেনরিখ ক্লাসেন। কিন্তু সেই জুটিতে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান উঠেনি। ৩৩ বলে আসে ৩১ রান। রেড্ডি ২১ বলে ১৯ করে সাজঘরের পথ ধরেন। ক্লাসেন তখন ২০ বলে ১৫ রানে।

সেট হয়ে অবশ্য হাত খোলেন ক্লাসেন। ২৮ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলে বুমরাহর বলে বোল্ড হন তিনি। ইনিংসের তখন আর ১১ বল বাকি।

শেষদিকে অনিকেত ভার্মা ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৮ আর প্যাট কামিন্স ৪ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত ৮ রান করে দলকে ১৬২ রানে পৌঁছে দেন।

মুম্বাইয়ের উইল জ্যাকস ১৪ রানে শিকার করেন ২টি উইকেট।

পড়ুন : সুপার ওভারে রাজস্থানকে হারালো দিল্লি

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন