অটোসাজেশন হচ্ছে ইতিবাচক ভালো ভালো কিছু শব্দ, কথা কিংবা কিছু বাক্য। শুধু বার বার উচ্চারণ। মনে মনে। সুযোগ পেলে জোরে জোরে। অটোসাজেশন কাজ করে মন্ত্রের মতো। যেমন- ‘আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী আমি পারি আমি করব’ মনোযোগ সহকারে কয়েক বার উচ্চারণেই ভয় কাটতে শুরু করবে নিশ্চিত। ইতিবাচক এ শব্দগুলোর বার বার উচ্চারণ বিশ্বাসকে রূপান্তরিত করে শক্তির প্লাবনে। নেতিবাচক ধ্যানধারণা ভেসে যায় খড়কুটোর মতো। নতুন ধারণা নতুন বিশ্বাস নির্মাণ করে নতুন বাস্তবতা, নতুন জীবন।

হারানো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে অটোসাজেশন
আমাদের দেশে অটোসাজেশনকে জনপ্রিয় করে তুলছেন কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক। জীবন বদলের চাবিকাঠি হাজারো অটোসাজেশন থেকে সংক্ষেপিত শতাধিক অটোসাজেশন নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত অণুবই ‘নিত্যদিন শত অটোসাজেশন’ এখন সাধারণ মানুষের হাতে হাতে। ছোট্ট এ অণুবইটি ব্যাগে বা পকেটে রাখা যায় অনায়াসেই। প্রতিদিন চর্চায় সহজেই বহনযোগ্য। পাতা উল্টালেই প্রতি পৃষ্ঠায় প্রয়োজনীয় একটি অটোসাজেশন।

‘দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবো না। কাজ ফেলে রাখব না। যা আজ করতে পারি তা আজই করব’ কিংবা ‘প্রতিটি চ্যালেঞ্জই জীবনে নতুন সুযোগ নিয়ে আসে আমি সুযোগ গ্রহণে সবসময়ই অগ্রগামী হবো’ অটোসাজেশন চর্চা একজন মানুষের কর্মতৎপরতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে ভীষণ কার্যকর। তবে চর্চা করতে হবে নিয়মিত। নিজে নিজেই নিয়মিত অনুশীলন করার জন্যে শুরুও করা যায় যখন-তখন। সংশয়কে হটিয়ে বিশ্বাসকে প্রবল করার এ এক প্রমাণিত প্রক্রিয়া।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত অটোসাজেশনের ছোট্ট এই অণুবইটি নিয়মিত চর্চায় দারুণ কার্যকর। শতাধিক অটোসাজেশন থেকে বেছে নেয়া নিজের প্রয়োজনীয় বাক্যগুলোর নিয়মিত অনুশীলন একজন মানুষের বিশ্বাস, ব্যক্তিত্ব কিংবা অর্জনকে সমৃদ্ধ করবে মন্ত্রের মতো। ‘মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও আমি আমার বিশ্বাসের কথা বলব’ বাক্যের নিয়মিত উচ্চারণ যে কারো মনে গেঁথে গিয়ে সৃষ্টি করতে পারে বিশ্বাসের নতুন মাত্রা। আর বাছাইকৃত কথামালার বার বার উচ্চারণ যে কাউকে ফিরিয়ে দিতে পারে হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস। অটোসাজেশনের নিয়মিত অনুশীলন নীরবে-নিঃশব্দে ভেতর থেকেই বদলে দিতে পারে যে কারো জীবন।
দেখুন: অটোসাজেশন : সুস্থ দেহ