28.3 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

হাসনাতকে কড়া হুঁশিয়ারি বিন ইয়ামিনের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টায় রাজধানীর শাহবাগ থানার সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ জানেন না আন্দোলন কিভাবে চলেছে এবং কীভাবে এটি পরিচালিত হচ্ছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘তারা মিডিয়ায় হাইলাইট হয়েছে। সে নিজেই বলেছে, তারা ডিজিএফআইয়ের নজরবন্দি। তারা যদি নজরবন্দিই থাকে তাহলে আন্দোলন চলেছে কীভাবে সেটি তারা জানে? জানে না।’

তিনি বলেন, “ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, ছাত্রদল এবং ফেডারেশন ইউনিয়নসহ রাজনৈতিক শক্তিরা ভালোভাবে জানে কিভাবে আন্দোলন চলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যারা ডিজিএফআইয়ের কাছে মাথানত করেননি, তাদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। কিছুদিন আগে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন যে, একদফা আন্দোলন বিরোধিতা করেছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই বের হয়ে আসবে যে, কারা বিরোধিতা করেছে।”

সাবধানতা উচ্চারণ করে ইয়ামিন বলেন, ‘আপনারা এখন নায়ক। আপনাদের খলনায়ক হতে সময় লাগবে না। মুখোশ খুলতে সময় লাগবে না। বিপ্লবের স্পিরিটকে যারা ধারণ করে, যারা আহত ও শহীদ হয়েছে তাদেরকে পুঁজি করে নিজেরা ধান্দা কইরেন না। প্রতারণা কইরেন না।’

উপদেষ্টাদের উদ্দেশ করে ইয়ামিন বলেন, ‘আপনাদের হাতে ৫৬ বছর পর একটা সময় এসেছে। আমরা আপনাদেরকে রক্ত ও জীবন দিয়ে বসিয়েছি। আমরা আপনাদের কাছে ভালো কিছু চাই। আপনারা যদি চাপ অনুভব করেন তাহলে আমাদেরকে বলেন। আমরা কিন্তু আস্তে আস্তে সব কথা বলব। আমরা বলতে বাধ্য হব। যেসব পুলিশ আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এই সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমরা এতদিন প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু আজ যখন আমার জীবন আশঙ্কায়, তখন তো আর চুপ থাকতে পারি না।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা

সরকারের উপদেষ্টা, সরকার, আমলা, ছাত্র ও জনতা সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা বিপ্লবী মুখোশ ধারণ করে আছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদেরকে টেনে নামিয়ে উন্মুক্তভাবে বিচার করতে হবে। তাহলেই এই বিপ্লবীরা বাঁচবে। নয়তো এই বিপ্লবীরা মরবে।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা

দেখুন: হাসনাত, সারজিসদের আইডি গায়েব, কিসের গন্ধ?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন