বাইরে থেকে পলাতক শেখ হাসিনা এবং দেশের ভেতর থেকে একটি পক্ষ গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় দেওয়া স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে এবং দেশের ভেতর থেকে একটা পক্ষ প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তারা অখণ্ড বাংলার বিখ্যাত মনীষীদের নামে থাকা স্থাপনাগুলো থেকে তাদের নাম সরিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নামে নামকরণের কথা বলে একটা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্ধিত সভার পর তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডগুলো গুরুত্বের সঙ্গে করব। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ডান-বামকে এক জায়গায় এনে ৩১ দফা দিয়েছেন।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কী পরিমাণ ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপির মতো একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক দল নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। এরই ফলশ্রুতিতে দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল অতি দ্রুত তারা ভোট দিতে পারবেন, তাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে পাবেন, কিন্তু এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পারছি না। আমরা ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য, কিন্তু সেটা এখনও নিশ্চিত হয়নি। অথচ এজন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি।’
বর্ধিত সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বক্তব্য দিয়েছেন।
পড়ুন : আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত