দেশের ১০ প্রতিষ্ঠানকে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) সনদ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগ। ফলে এসব কোম্পানি কাস্টমসের প্রক্রিয়া সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে। গতকাল রোববার এনবিআর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে এইও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, এই লাইসেন্স ব্যবসায় নতুন কোনও বাধা তৈরি করার পরিবর্তে কোম্পানিগুলোর গুড প্র্যাকটিসকে উৎসাহিত করবে। এই লাইসেন্স তারাই পাবেন যাদের ভোক্তা অধিকার, ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স, গভর্নেন্স, ইত্যাদি ব্যাপারে শক্ত ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।

১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের মর্যাদা
যেসব প্রতিষ্ঠানের ভোক্তা অধিকার, ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স, গভর্ন্যান্সসহ অন্য বিষয়গুলোয় শক্ত ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে, তারাই এই সনদ পাবে। তিনি জানান, উন্নত বিশ্বে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের ধারণাটি বেশ কমন। ২০১৩ সালেই বাংলাদেশ সরকার এই কনসেপ্ট কাগজে-কলমে চালু করলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বাস্তবিক অর্থে এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারেনি। বিডার দায়িত্ব বাংলাদেশে ব্যবসা পদ্ধতি সহজ করা।
অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের মর্যাদা পেয়েছে ইউনিলিভার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, জিপিএইচ ইস্পাত, বিএসআরএম, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স, এসিআই গোদরেজ অ্যাগ্রোভেট, টোয়া পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ডিভাইস।
উন্নতবিশ্বে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর এর ধারণাটি বেশ কমন। ২০১৩ সালেই বাংলাদেশ সরকার এই কনসেপ্ট কাগজে কলমে চালু করলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি কখনও বাস্তবিক অর্থে এই সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারে নাই। “বিডার দায়িত্ব বাংলাদেশে ইজ অফ ডুইং বিজনেস বা ব্যবসায় সহজতা আনা। আমাদের জন্য এই কেস এ চ্যালেঞ্জ ছিল আসলে সরকারের মধ্যে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ চালু কর,” নিজের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে বলেছেন আশিক চৌধুরী। গত ২১শে অক্টোবর এনবিআর আর বিডা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় মার্চের মধ্যে এই সুবিধা আবার চালু করা হবে।
দেখুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কে জিতবে?