স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের পূর্বাঞ্চলের ১২ জেলা। প্রাণহানি অন্তত ১৩ জনের। বেগতিক দশায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায়, বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কারোর সঙ্গে যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। কেমন আছেন এসব এলাকার মানুষ, তা নিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।
আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের বেশকটি জেলা। বিদ্যুৎ নেই, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। বিশেষ করে ফেনী জেলার অবস্থা বেগতিক। জেলাটির ৯০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ারই বিদ্যুৎহীন। ফলে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেখানকার মানুষ।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার রেকর্ড উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ভেঙে গেছে নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকার বাঁধ। এতে ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ।
প্রায় ৩৩ বছর পর চট্টগ্রামে একসঙ্গে ১৬ উপজেলা বন্যা কবলিত। পানিবন্দি প্রায় ৩ লাখ মানুষ। ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার বেশ উপরে। এর আগে ১৯৯১ সালে ভয়াল জলোচ্ছ্বাসে জেলার সব উপজেলায় পানি উঠেছিল।
মৌলভীবাজারেও পরিস্থিতির ভয়াবহ। নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। সিলেটের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ। মনু ও ধলাই নদীর ১৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। পানিবন্দি প্রায় ২ লাখ মানুষ।
নোয়াখালীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। জেলার মুহুরী নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অনেক এলাকা।
৪ দিন পর খাগড়াছড়িতে পানি কমেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে নিচু এলাকায় এখনো অনেকে পানিবন্দি। পানি ডুবেছে রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু।
সিলেটেও পানি কমেছে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে। এদিকে, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে লক্ষ্মীপুরে।