চেন্নাইয়ের চিপকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে আছে ভারত। চেন্নাই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২২৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান সংগ্রহ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। মোট ৩০৮ রানের লিড পেয়েছে ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন,নাহিদ ও মেহেদী মিরাজ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ফলো অন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে অন্তত ১৭৭ রান করতে হতো। কিন্তু ৪৭ ওভার ১ বলে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪৯ রানে। তবে বাংলাদেশকে ফলো অন না করানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বুমরাহকে দেখেশুনে খেলছিলেন সাদমান। কিন্তু ওভারের শেষ বলটি অব স্ট্যাম্পকে লক্ষ্য করে ছোড়েন বুমরাহ। আর বলটি ছেড়ে দেওয়ায় বোল্ড হন এই টাইগার ওপেনার। এরপর জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকির। নবম ওভারে আকাশ দ্বীপের হাতে বল তুলে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওভারের প্রথম দুই বলে জাকির এবং মুমিনুলকে বোল্ড আউট করে রোহিতের ভরসার প্রতিদান দেন এই ডানহাতি পেসার। ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতে যায় বাংলাদেশ।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের আউট সুইং বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০ বলে ২০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। শান্ত ফেরার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৪ বলে ৮ রান করে। বুমরার সুইং ও বাউন্স হওয়া বল মুশফিকের ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ রাহুল।
স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলতেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাস। এই দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ২২ রান করে লিটন ফেরায় ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩১তম ওভারে জাদেজার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩২ রান করেছেন তিনি।
এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানারা দ্রুত ফিরলে দেড়শর আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ২৭ রান করে।
ভারতের হয়ে ৫০ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন বুমরাহ। দুটি করে উইকেট শিকার করেন সিরাজ, আকাশ ও জাদেজা।