শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমণ্ডিতে শ্রদ্ধা জানাতে চায় আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, দলটি যেন কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারে, সেজন্য মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। দিনটিতে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিও। তাদের এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় শেখ মুজিবের স্মৃতি সম্বলিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি।
প্রতি বছর ১৫ আগস্ট এখানেই শেখ পরিবারের নিহতদের স্মরনে শোক পালন করা হতো। আজ চারিদিকে পোড়া ছাইয়ের গন্ধ।
টানা দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে। তবুও শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালনকে উপলক্ষ্য করে আবারও নিজের অস্বিত্ব জানান দিতে চায় আওয়ামী লীগ।
১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ ঢাকায় কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলেও সেটি সফল হতে দেবে না বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগ যখন মুখোমুখি অবস্থানে, তখন চুপচাপ বসে নেই বিএনপিও। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি ইতোমধ্যেই তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন, যাদের একজন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রতের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোমুখি অবস্থানের ঘটনায় সাধারণ নাগরিকদের অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।