০৮/০৭/২০২৫, ২১:০১ অপরাহ্ণ
26.1 C
Dhaka
০৮/০৭/২০২৫, ২১:০১ অপরাহ্ণ

২০২৬ সালের রমজানের আগেও জাতীয় নির্বাচন হতে পারে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। ‌দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি‌ অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটার দিকে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন ।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তাঁদের মধ্যে একান্তে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আগেই জানিয়েছেন শফিকুল আলম।

এর আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন প্রথম আলোকে বৈঠক শুরুর কথা জানিয়েছিলেন।

তারেক রহমান হোটেলের সামনে পৌঁছালে তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্বাগত জানান।

অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসু আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।

পড়ুন : প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষ

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন