বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ। প্রতিবছরেই এ দিন পুনর্মূল্যায়ন করা হয়, দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা কেমন চলছে। আজকের দিনেও জাতীয় দৈনিকগুলি প্রকাশ করেছে বিশেষ প্রতিবেদন। আলোচনায় স্থান পেয়েছে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) সাম্প্রতিকতম প্রতিবেদনের বিশ্লেষণও।

ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিক এক প্রতিবেদনে ‘এখন পর্যন্ত ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা’র বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে অনুসন্ধানী বিশ্লেষণও স্থান পেয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সাংবাদিকদের উপর দমন-পীড়ন নতুন রূপ নিয়েছে। নিরাপত্তার শঙ্কা ও বিচারিক হয়রানির ঘটনা এখনও স্পষ্টতঃ দৃশ্যমান, কেবল নিপীড়কদের বদল হয়েছে।’
‘সাংবাদিকদের তাড়া করে বেড়ানো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভূত নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। ভয়াবহ হত্যা ও হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন জুলাইয়ের বিদ্রোহের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের নৃশংস প্রতিক্রিয়ার প্রতিশোধের ফল অনেকেই বহন করতে হচ্ছে।’
গত কয়েক মাস ধরে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহতভাবে হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় স্বভাবতই এমন প্রশ্ন উঠছে যে, সাংবাদিকরা হত্যাকাণ্ডকে কতটা উসকে দিতে পারেন? হত্যাকাণ্ডে সাংবাদিকদের দায় কতটা-এমন জিজ্ঞাসার জবাব দিতে গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরাও হিমশিম খাচ্ছেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবাদিক কামাল আহমেদ এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘২৬ জুলাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে কিছু শীর্ষ সাংবাদিক তাকে ছাত্র আন্দোলনকে আরও কঠোরভাবে দমন করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। এটা স্পষ্ট, তারা সাংবাদিক হিসেবে নয়, বরং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।’
কিন্তু এর জন্য সাংবাদিকদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে কিনা এমন জিজ্ঞাসার জবাব বেশ জটিল। এটা কতটা জটিল তা স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা সাংবাদিকদের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট হতে পারে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) এর পরিসংখ্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ইংরজি দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলীর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন মামলায় কমপক্ষে ২৬৬ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে, যার সংখ্যা ৮৮টি। সিলেট ও চট্টগ্রাম যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে; যেখানে ৩৯ জন ও ৩৬ জন সাংবাদিককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অন্যদিকে-সাভার, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বগুড়ায় ১০ থেকে ২০ জন সাংবাদিককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে এমন অন্যান্য জেলাগুলি হচ্ছে-কক্সবাজার, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, নড়াইল, পটুয়াখালী, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, মুন্সিগঞ্জ, বাগেরহাট, যশোর, পিরোজপুর এবং নেত্রকোনা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্র ও টেলিভিশন স্টেশন থেকে শুরু করে স্থানীয় সংবাদপত্র মিলে প্রায় ৫০টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই মামলার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে।
অনুসন্ধানে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রকাশ্য রাজনৈতিক যোগসূত্র থেকে বোঝা যায়; সাংবাদিকতা ছাড়া অন্য কারণেও তাদের মামলার লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নারায়ণগঞ্জে ২ জন জেলা সংবাদদাতাকে একটি সমাবেশে শামীম ওসমানের সঙ্গে থাকতে দেখা গেছে; যেখানে তার অনুসারীরা ছাত্র বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালাচ্ছিলেন। সহিংসতা শুরু হওয়ার সময় একজন সাংবাদিককে দুই হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে। তবে সামগ্রিকভাবে মামলা করা সাংবাদিকদের মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ (প্রায় ৫০ জন) প্রকাশ্য রাজনৈতিকর সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা আওয়ামী লীগ শাসন বলয়ে থেকে উপকৃত হয়েছিলেন।
প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয় যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিশোধমূলক মামলার শিকার হন সাংবাদিকরা। দৃষ্টান্তস্বরূপ-সিলেটে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দৈনিক সময়ের আলোর যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা মনোয়ার জাহান চৌধুরীকে একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তিনি কয়েক বছর আগে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সিলেটে ওই সাংবাদিকের সহকর্মী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান গত বছরের ২৭ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে নয়জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি এখন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করছে।
একইভাবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনাগুলি নিয়েও প্রতিশোধমূলক মামলা দায়ের করা হয়। এই জেলায় মোট ১৬ জন সাংবাদিক মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং দুটি জাতীয় সংবাদপত্রে কর্মরত কমপক্ষে দুইজন সাংবাদিক এই মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে তাদের চাকরিও হারিয়েছেন।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি মোঃ হেদায়েত হোসেন সহ ১৪ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল তারা (সাংবাদিকরা) একটি ছেলেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান যিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন ৫ আগস্ট বিক্ষোভ চলাকালীন বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা পতাকা উত্তোলন করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিক্ষোভের পথে বাঁশ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত করে, যার ফলে রাকিবুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের সময় রিপোর্ট করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক হেদায়েত বলেন, ‘উভয় শাসনামলেই আমি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছি। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য বলেই আমার নাম এসেছে। আমি রাকিবুলের বাবার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম, তিনি বলেছেন- তিনি মামলাটি সম্পর্কে জানেন না। তিনি আরও বলেছিলেন যে, তিনজন লোক তার বাড়িতে এসে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেছে। তারা বলেছিল, সরকার থেকে তিনি আর্থিক সহায়তা পাবে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, একটি সাদা কাগজে ওই লোকজন তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষরও দিয়েছেন।’
রকিবুলের মৃত্যুর সঙ্গে একই সময়ে আশুলিয়ায় ঘটে যাওয়া একটি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা আরেকটি আইসিটি অভিযোগেও হেদায়েতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে উভয় অভিযোগেই একই সাক্ষীর নাম উল্লেখ রয়েছে। কীভাবে একজন সাক্ষী একই সময়ে আশুলিয়া ও পাইকগাছা উভয় জায়গায় থাকতে পারেন- এই প্রশ্নও তোলেন হেদায়েত।
সাংবাদিক কামাল আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার একটি কারণ হল তাদের অনেকের ব্যবসার মতো অন্য পেশাও রয়েছে। অনেকের একাধিক পরিচয় আছে এবং এই ভুয়া খুনের অভিযোগগুলি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলাফল।’
‘এই মামলাগুলির পেছনের কারণগুলি খুঁজে বের করার জন্য স্বাধীনভাবে তদন্ত করা দরকার এবং কেবল পুলিশের পক্ষেই এটি সম্ভব নয়। তবে নিশ্চিতভাবেই যে অপরাধের জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে এই কারণগুলি তার সাথে সম্পর্কিত নয়’-বলেন কামাল আহমেদ।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা কেন দায়ের করা হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘তারা (সাংবাদিকরা) সরাসরি জড়িত নাও থাকতে পারে, তবে তারা তাদের বক্তৃতার মাধ্যমে সহায়তা এবং প্ররোচনা দিয়েছে।’

কতজন অভিযুক্ত সাংবাদিক, বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে হত্যায় প্ররোচিত করতে প্রভাববিস্তার করেছিলেন-এমন প্রশ্নে কামাল আহমেদ বলেন, ‘এই মামলাগুলি দ্ব্যর্থহীনভাবে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল এবং খুনের অভিযোগগুলি সবই মিথ্যা ছিল।’
‘বাংলাদেশে এমন কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই যা সাংবাদিকতার মাধ্যমে হত্যার প্ররোচনার জন্য একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন আইন রয়েছে’-যোগ করেন তিনি।
জানুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সাংবাদিকদের উপর গণহারে মামলাকে ‘হাসিনা প্রশাসনের নির্যাতনের পরিচিত ধরণ’ এর প্রতিলিপি বলে আখ্যায়িত করে। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘যদিও বিদ্রোহের সময় সংঘটিত গুরুতর অপরাধের নির্দেশ, সহায়তা এবং মদদদানের সাথে জড়িতদের জবাবদিহি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সমর্থন না করার জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি বিপজ্জনক বার্তা।’

২৬৬ সাংবাদিকের নামে ফৌজদারি মামলা
বিচারিক হয়রানির বাইরেও নিয়ন্ত্রণহীন মবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেক সাংবাদিক। নাটোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর ও ঢাকায় সাতটি পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জন সাংবাদিকের উপর হামলা করা হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ঘটনা কভার করার সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাবেক সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলা হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি লাইভে এসে দর্শকদের ব্যাখ্যা করছিলাম যে, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন তীব্র জনরোষের জন্ম দিয়েছে। আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে বোঝাতে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম। এখানে অবস্থিত জাদুঘরটিকেও বঙ্গবন্ধু জাদুঘর বলা হত। আমি এই শব্দটি ব্যবহার করার কারণে কিছু জনতা আমার চারপাশে জড়ো হয়ে আমাকে মারধর করে।’
ফারুক জানান, তিনি স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও তদন্ত সম্পর্কে কোনও আপডেট পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমার ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনও আশা নেই। জনতা জানে, তারা সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করতে পারে, এর জন্য দায়মুক্তিও পেতে পারে।’
আরএসএফ দক্ষিণ এশিয়া ডেস্কের প্রধান সেলিয়া মার্সিয়ার ১৪ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ফলে উন্নতির আশা জাগলেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এখনও অরক্ষিত। রিপোর্ট করার সময় তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে, তাদের লেখার জন্য শারীরিক প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে এবং বিক্ষোভকারীরা তাদের সংবাদ কক্ষে হামলা চালাচ্ছে।’

স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ উন্নতি হলেও পরিস্থিতি ‘বেশ গুরুতর’

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগুলেও এখানে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিস্থিতি ‘বেশ গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) ২০২৫ সালের সূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে। আরএসএফ এর গতকালের প্রতিবেদনে, স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম, স্কোর ৩৩ দশমিক সাত এক। টানা নবমবারের মতো সূচকের শীর্ষে অবস্থান করছে নরওয়ে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে এস্তোনিয়া ও নেদারল্যান্ডস। ২৩ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বার্ষিক সূচক প্রকাশ করে আসা প্রতিষ্ঠানটির মতে, এবার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। আরএসএফ’র ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম, এর আগের বছর ছিল ১৬৩তম। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সূচকে ১৫০-এর ভেতর অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
দেখুন: বাংলাদেশে মেরুদণ্ডওয়ালা সাংবাদিক পাওয়া খুব মুশকিল: প্রেস সচিব