পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটের গুরু আবেদ আলীর আরেক দোসর ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়। চাকরি দেয়ার শর্তে একেকজনের সঙ্গে তিনি চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। পরীক্ষার আগে প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয়নাথ। নিজ গ্রামে কিছু না করলেও দিনাজপুর ও ঢাকায় তার অঢেল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতা আবেদ আলী ধরা পড়েছেন। ধরা পড়েছে তার দোসররাও। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রিয়নাথ রায়। চাকরিপ্রার্থীদেরকে আবেদ আলীর কাছে পৌঁছে দিতেন প্রিয় নাথ। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়, অগ্রিম নেয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির বড় সন্তান প্রিয়নাথ রায়। এইচএসসির পরে বন বিভাগে চাকরি নেন তিনি। পরে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন।
এরপর তিনি জড়িয়ে পড়েন চাকরির প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে। চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি প্রতিবেশীরা।
গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা।
নিজের এলাকায় প্রিয়নাথের তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকায় খোঁজ মিলেছে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির।