১৮/০৬/২০২৫, ২৩:২২ অপরাহ্ণ
26.1 C
Dhaka
১৮/০৬/২০২৫, ২৩:২২ অপরাহ্ণ

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিলো পিএসসি

চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অবশেষে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে পিএসসির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিগগির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হতে পারে।

সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রার্থীরা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলির মধ্যে কমপক্ষে তিন মাসের বিরতি দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে তারা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি তুলেছেন, যেটা বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে পিএসসি। ফলে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কবে নাগাদ ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট হতে পারে এমন প্রশ্নের পিএসসির ওই সদস্য বলেন, যেহেতু প্রার্থীরা বলছেন তারা ৪৬’র লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭’র প্রিলিমিনারির মধ্যে তিনমাস গ্যাপ (বিরতি) চান, সেক্ষেত্রে আগস্টের আগে ওই পরীক্ষাটা (৪৭’র প্রিলি) নেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট হতে পারে।

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন একদল চাকরিপ্রার্থী। তাদের অভিযোগ, ৮ মে থেকে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। পুরো মে মাসজুড়ে লিখিত পরীক্ষা চলবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই ২৭ জুন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময়সূচি দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। অনেক চাকরিপ্রার্থী এ তিন পরীক্ষারই পরীক্ষার্থী। ফলে তাদের পক্ষে প্রস্তুতি ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়াটা কষ্টসাধ্য।

এ কারণে টানা তিনদিন ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন তারা। আজও বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা এবং দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জরুরি সভায় বসেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তারা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা না পিছিয়ে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পড়ুন : ৪৬তম বিসিএসের পরীক্ষা পেছাতে আন্দোলনের মুখে তিন দিন সময় চাইল পিএসসি

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন