20 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

যান চলাচল স্বাভাবিক

মহাসড়কে ফের শ্রমিক অবরোধ, যানজট

এক ঘণ্টার ব্যবধানে গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আবারও অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কে আবারও যানজট তৈরি হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি, বেতনের জন্য ঢাকায় যাওয়া শ্রমিকদের প্রতিনিধি দল ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের অবরোধ অব্যাহত থাকবে।

এর আগে টানা ৫৩ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের পর সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শ্রমসচিবের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপর দুদিনের বেশি সময় অচল থাকা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ফের মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা বলছেন, তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস আগেও দেওয়া হয়েছিল। এখন তারা আর আশ্বাস মানছেন না। অধিকাংশ শ্রমিক বলছেন, বকেয়া বেতনের টাকা যতক্ষণ না হাতে পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ থাকবে।

৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার

টানা ৫৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তারা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাওনা কীভাবে পরিশোধ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে স্যারের (সচিব) সঙ্গে আলোচনা করবো। এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা আজকের মতো অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন।

তৃতীয় দিনের মতো শ্রমিক অবরোধ অব্যাহত

সকালে গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ শুরু হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা। মহাসড়ক অবরোধের কারণে উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পোহান ওই মহাসড়কে চলাচলকারীরা।

শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার

গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় টিএন্ডজেড গ্রুপের ছয়টি পোশাক কারখানার শ্মিকরা গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে টানা তিনদিন ধরে ব্যস্ততম এ সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভে অচল মহাসড়ক, যাত্রীদের দুর্ভোগ

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে মোগরখাল এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন এসে তাদের বেতন পরিশোধ করার জন্য সাত দিনের সময় চেয়েছিল। কিন্তু তারা সেটা মানেননি। কারণ গত প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন সময় অনেক তারিখ দিয়েও মালিক এবং প্রশাসন তাদের কথা রাখতে পারেনি। তাই তারা কোনো কথাতেই আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

টিএ/

আরও পড়ুন: শ্রমিক বিক্ষোভে অচল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন