১৯৯৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর উখিয়াকেও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। মেরিন ড্রাইভকে ঘীরে পর্যটন খাতের প্রসারের পর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমপাশে সাগরের বালিয়াড়ি দখল করে অনেকেই গড়ে তুলেছেন স্থাপনা।
উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া সমুদ্র সৈকতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে একটি চক্র। মঙ্গলবার বিকেলে উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনীম তাসিন অভিযার পরিচালনা করেন ওই এলাকায়।
এসময় আনুমানিক প্রায় ৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ একর ৫৫ শতক খাস জমি উদ্ধার করা হয়। এ সময় এসব জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়। মেরিনড্রাইভের পশ্চিমপাশে ঝাউবাগান এবং বালিয়াড়ি দখল করে বানানো হয়েছে অসংখ্য দোকান। এসব দোকান থেকে ব্যবহারের পর ফেলা হয় পলিথিন আর প্ল্যাস্টিক, ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, হুমকির মুখে পড়ছে সাগরলতা, তাছাড়া মেরিনড্রাইভের পশ্চিমপাশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঝাউগাছ কেটে তৈরি করা হচ্ছে এসব দোকান ও স্থাপনা।
উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জানান, মেরিনড্রাইভের পশ্চিমপাশে ঝাউবাগান দখল করে সরকারী খাস জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, এ সময় জালিয়া পালং মৌজার ১.২০ শতক এবং ইনানী মৌজার ১.৩৫ খাস জমি উদ্ধার করা হয়, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে সরকারী সাইবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সোনারপাড়ায় মেরিনড্রাইভের পশ্চিমপাশে ইসিএ এলাকায় একটি চক্র সরকারী খাস জমি দখল করে গড়ে তুলে অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে জড়িতদের বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভের পশ্চিমপাশের উখিয়া অংশে বালিয়াড়ি দখল করে অনেকেই তৈরি করেছেন স্থাপনা, এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারী জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
পড়ুন : এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে প্রবেশপত্র না পাওয়া সেই ১৩ শিক্ষার্থী