বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মানবিক সংগঠন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঝিনাইদহে শহীদ প্রকৌশলী রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের পরিবারকে সহানুভুতি ও দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের নিহত রাকিবের সমাধীস্থলে তার পরিবার ও শৈলকুপার নিহত সাব্বিরের পরিবারের সাথে স্বাক্ষাৎ করে সংগঠনটির প্রতিনিধি দল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আতিকুর রহমান রুমন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এ মজিজ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হাসনাইন মনজুর মোর্শেদ ইমন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মহান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিসবাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রাকিবুল হোসেন এবং শৈলকূপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আমদ আলী মণ্ডলের ছেলে সাব্বির মণ্ডল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
সভায় নিহত দুই পরিবারের সদস্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান নেতাকর্মীরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা ওই পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত ঐ দুই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
আতিকুর রহমান রুমন প্রকৌশলী রাকিব ও সাব্বিরের পরিবারকে সান্ত্বনা ও সহানুভুতি জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে পারবো না। কিন্তু তারা দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় চব্বিশ সালের আগষ্ট-জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল।