
আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এমন ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মাঝে। কেউ কেউ স্বাগত জানালেও ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকিট কাটা, সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই, টিকিট না পাওয়ার শঙ্কা করছেন অনেকে।
ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের জন্য রাতের পর রাত কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ঘরে বসেই অল্প সময়ে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হলে কালোবাজারি শতভাগ দূর হওয়ার প্রত্যাশা রেল কর্তৃপক্ষের।
তবে অনলাইন প্রক্রিয়াটি অনেকের কাছে জটিল বিষয়। সারা দেশের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পদ্ধতিটি সহজ নয়। অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কেও জানেন না অনেকে। পারদর্শীদের জন্য সুবিধা হলেও, অজ্ঞদের জন্য ভোগান্তি। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে কিছু সংখ্যক টিকিট রাখার দাবি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার সাধারণ যাত্রীদের।
সিরাজগঞ্জের যমুনা পাড়ের যাত্রীরা বলছেন তাদের অনেকের হাতেই স্মার্ট ফোন নেই। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে তাদের তেমন ধারনাও নেই। বিপাকে পড়বেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। মোবাইলের এসএমএস পড়তে পারেন না যশোরের এমন অনেক যাত্রী টিকিট কাটতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী বা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিকল্প কোনোও ব্যবস্থা নেই।
শতভাগ অনলাইনে বিক্রি হলে, ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা গাজীপুরবাসীর। কারণ ট্রেন যাত্রীদের বিরাট একটি অংশ অনলাইন টিকিটিংয়ে অভ্যস্ত নয়। তাদের হাতে নেই স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট সুবিধা।
ঈদযাত্রায় অনলাইন টিকিটিং ব্যবস্থা সফল হলে, পরবর্তীতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
তানভীর জনি/ফই
