
ভারতীয় পাসপোর্টধারী আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে কি বাংলাদেশে ফেরানো সম্ভব? এ নিয়ে রয়েছে নানা সমীকরণ। তাকে ধরতে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। এখন দেখার পালা, পুলিশ সদস্য খুনের এই আসামিকে কবে নাগাদ দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।
দুবাইতে স্বর্ণ ব্যবসা উদ্বোধন নিয়ে বাংলাদেশের পুলিশ পরিদর্শক খুনের মামলার আসামি আরাভ খান এই মুহূর্তে টক অব কান্ট্রি।
প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত কিংবা ঘটনা সামনে আসছে তাকে নিয়ে। এবার আলোচিত সমালোচিত আরাভ খানের বিরুদ্ধে জারি হলো ইন্টারপোলের রেড নোটিশ।
আরাভ খান তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি, বয়স ৩৫। জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে। এ ছাড়া ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করা হয়েছে। তার জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি।
পুলিশ সদস্য খুনের মামলার আসামি আরাভ খান বাংলাদেশের নাগরিক হলেও তাকে দুবাই থেকে ফেরাতে ভারতের সিদ্ধান্ত বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ওই আসামি ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
বিষয়টি এরই মধ্যে চিঠি দিয়ে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছে। এখন তার অবৈধভাবে নেয়া পাসপোর্টটি বাতিল হলে এবং ভারত নিজেদের নাগরিক হিসেবে দাবি না করলেই কেবল তাকে দ্রুত ফেরানো সম্ভব হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো ভারতের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি বলেও জানা গেছে।
ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো চিঠিতে আরাভ খান বাংলাদেশের নাগরিক, এর সপক্ষে সব তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। জানানো হয়েছে ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ। চিঠিতে আরাভের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, তার মা-বাবার নাম এবং স্থায়ী ঠিকানা দেয়ার পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তা খুনসহ তার বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন মামলার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন অবস্থায় ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হলেও, আরাভকে ফেরাতে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতের দিকে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আনোয়ার হোসেন/ফই
