
শুরু হলো বিজয়ের মাস। যে মাসে সূচনা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়ের। বিশ্ব মানচিত্রে উদিত হয়, স্বাধীন সর্বভৌম একটি দেশ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। শুরু হলো, মরণপণ যুদ্ধ।
দীর্ঘ ৯ মাসের বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধ। একপর্যায়ে ধরা দিতে থাকে বিজয়। সর্বাত্মক রূপ পায় মুক্তিযুদ্ধ। কোনঠাসা হয়ে পড়ে হানাদারের দল। একের পর এক প্রবল আক্রমণের মুখে পিছু হটতে থাকে পাকিস্তান বাহিনী।
এই দিনে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সেনা প্রত্যাহারের আহবান জানান। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে, অনেক এলাকা থেকেই গুটিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাক সেনারা।
চলছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক গেরিলা আক্রমণ। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণ করে যাচ্ছিলো জল, স্থল ও আকাশপথে। এমন তোপের মুখে বর্বর হানাদারদের পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।
৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে, ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বাংলাদেশ অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড ও লাল-সবুজের পতাকা।
এই মাসেই দেশের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এমন ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনো নজির বিশ্বে নেই।
বাংলাদেশের বিজয় উদযাপন হবে, ডিসেম্বরজুড়েই। জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি থাকবে, বিভিন্ন সংগঠনের বিস্তারিত কর্মসূচি। শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হবে, জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের।
