
দেশের সব কয়াট জেলায় করোনা ভ্যাক্সিন পৌছে গেছে। আর এই টিকাদান কর্মসূচির জন্য আগামী ১০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। সকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এদিকে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পদশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
দেশের প্রায় সব কয়টি জেলায় পাঠানো হয়েছে করোনার টিকা। আর এসব টিকা নিতে অনলাইনে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সকালে জেলার সিভিল সার্জনদেরে সাথে অনলাইনে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন। যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তাদের সহায়তা করবেন মাঠ স্বাস্থ্যকর্মী ও আইসিটি মন্ত্রণালয়। যারা নিবন্ধন করতে পারবে না তাদের সহায়তা করবে মাঠ স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
ডা. খুরশিদ আরও জানান, যারা প্রথমদিকে টিকা নিয়েছেন তারা সুস্থ আছেন জানিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ঢাকা জেলার জন্য প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ লাখ টিকা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ১ শতাংশের কম অসুস্থ হয়েছিলেন , এখন সবাই সুস্থ। ঢাকা জেলার জন্য করোনা টিকা প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ লাখ।
এদিকে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমনের হার ৩ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবী করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে ৩ শতাংশের নিচে নেমে গেলে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বাংলাদেশে ৩ শতাংশের মতো।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশে প্রথম বলেও জানান মন্ত্রী।
আনোয়ার হোসেন/লিশা
