
বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে পারলো না তার পরিবার। মেহেরপুরে সীমান্তের শূন্য রেখায় বাধা হয়ে দাঁড়ালো কাঁটাতার। মৃত্যুর পর সীমান্তে অপেক্ষায় ছিলেন সন্তান ও স্বজনরা। কিন্তু অনুমতি দেয়নি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ।
মুজিবনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবিন দফাদারের দুই মেয়ে ও এক ছেলে বিয়ে করে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে আবাস গড়েন। এদিকে, গত বুধবার বাংলাদেশে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তাদের বাবা রবিন। শেষবারের মতো বাবার মরদেহ দেখতে ওপারে কাঁটাতারের কাছে অপেক্ষা করেন সন্তান ও স্বজনরা।
বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হলে, ১০৫ নং পিলারে মরদেহ দেখানোর সুযোগ করে দেয়া হয়। কিন্তু দিনভর অপেক্ষা করেও লাভ হয়নি। বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি না পাওয়ায়, শেষবারের মতো বাবার মুখ দেখতে পারেননি, ভারতে থাকা সন্তানরা।
এদিকে, গার্ড অব অনার শেষে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে মরদেহ নিয়ে যায় এলাকাবাসী। গ্রামবাসী উদ্যোগ নিয়ে বিজিবির কাছে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু বিএসএফ কর্মকর্তারা তাতে সাড়া না দেয়ায় ফিরতে হয় হতাশ হয়ে।
ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও লাভ হয়নি, জানান সাবেক এই ইউপি সদস্য।
দেশভাগের সময়ই রবিন দফাদারের সন্তানরা ভারতে চলে যান। কিন্তু নিজের হাতে স্বাধীন করা দেশকে ছেড়ে যেতে চাননি রবিন। অবশেষে নিজ দেশের মাটিতেই শায়িত হলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
রাব্বি আহমেদ/ফই
