
কাজ বন্ধ। কিন্তু সড়কের উপরে ঝুলে আছে গার্ডার। নীচ দিয়ে চলছে শত শত গাড়ি। প্রকল্পের কোথাও নেই নিরাপত্তা নির্দেশনা। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের এমন অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলে ব্যস্ত এই রাস্তায়। ২০১৭ সাল থেকে এই সড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ শুরু হলে, আরও ব্যস্ত হয়ে পরে এই সড়ক।
বিমানবন্দর এলাকা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। ৫ বছর ধরে এই এলাকাজুড়ে চলছে নির্মাণকাজ। ব্যস্ততম সড়কের মাঝ বরাবর এই কাজ চলমান থাকলেও, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এমনকি নিরাপত্তা খাতে রাখা হয়নি সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যয়।
সম্প্রতি উত্তরায় প্রকল্পের নির্মাণকাজের দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় কাজ। কিন্তু সড়কের উপর ঝুলছে গার্ডার, ঝুঁকি নিয়েই শত শত গাড়ি চলছে নিচ দিয়ে।
বিমানবন্দর থেকে টঙ্গীমুখী প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নির্মাণসামগ্রীর স্তূপ রয়েছে। এর ফলেও মানুষজন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে।
গত বছরের মার্চে বিমানবন্দর এলাকায় এক দুর্ঘটনায় প্রকল্পের দেশি-বিদেশি ছয়জন শ্রমিক আহত হন। বিআরটি প্রকল্প চলাকালে বিভিন্ন সময়ের দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে, কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
সাইফুল শাহীন/ফই
