
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘শুধু ক্যাসিনো নয়, সব অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। যারা এ ব্যবসা করছে তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়নি। তারা অবৈধভাবে এ কাজটি চালাচ্ছিল। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হঠাৎ করেই ক্যাসিনো এখন টক অব দ্যা টাউন। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে ক্যাসিনো ব্যবসা চললেও গতকাল চারটি ক্লাবে অভিযানের পরই এ নিয়ে নানান আলোচনা।
বিশিষ্টজনদের মতে, আওয়ামী লীগের লোকেরা অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায়, দল সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে জনগণের কাছে। তাই সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। একইসঙ্গে ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালীদেরও আইনের আওতায় আনার তাগিদ বিশিষ্ট নাগরিকদের।
গতরাতে রাজধানীর কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে র্যাব। আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে ১৮২ জনকে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জড়িত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এককভাবে কেউ এই অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এর পেছনে যারা আছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুদ্ধি অভিযান চালানো প্রয়োজন আওয়ামী লীগের সকল স্তরে।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে এতদিন অভিযান না চালানোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশিষ্টজনরা।
ক্যাসিনো বা জুয়ার সঙ্গে জড়িতদের অর্থের উৎস খতিয়ে দেখারও তাগিদ দিলেন তারা।
আমিমুল হাসান/ফই
