
‘ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হতে পারে, দ্রুত আশ্রয় খুঁজে নিন। এটা কোনও প্রশিক্ষণ নয়।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্টেট হাওয়াইতে সেখানকার বাসিন্দাদের ফোনে এই বার্তা পাঠানো হয়। একই সাথে রেডিও আর টেলিভিশনের প্রচারিত হয় এই সতর্কতা। এরপরই পুরো রাজ্য জুড়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই বার্তাকে ভুয়া বলে ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
১৩ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা সাত মিনিটে এই বার্তা হাওয়াইয়ের বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনে যায়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে এর ১৮ মিনিট পর ইমেইল পাঠিয়ে বাসিন্দাদের জানানো হয় বার্তাটি ভুয়া। সকালে পাঠানো বার্তাটিকে ভুয়া ঘোষণা করে মোবাইল গ্রাহকদের বার্তা পাঠানো হয় ৩৮ মিনিট পর।
রেডিও আর টেলিভিশনে রেকর্ড করা জরুরি বার্তা পড়ে শোনানো হয়। তাতে বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্যে যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
This was my phone when I woke up just now. I’m in Honolulu, #Hawaii and my family is on the North Shore. They were hiding in the garage. My mom and sister were crying. It was a false alarm, but betting a lot of people are shaken. @KPRC2 pic.twitter.com/m6EKxH3QqQ
— Sara Donchey (@KPRC2Sara) January 13, 2018
সোশ্যাল মিডিয়াতে পোষ্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র এলার্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাচ্ছে।
Pt 2. Students at University of Hawaii at Manoa panicking after missile threat was issued pic.twitter.com/7vO0n2qndf
— Joe Walker (@_JoeWalker) January 13, 2018
সতর্কবার্তার পর সেখানকার মানুষজন আতংকিত হয়ে দ্রুতবেগে গাড়ি চালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটতে থাকে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া থেকে ধারাবাহিক ভাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে উত্তেজনা বিরাজ করছে ঐ অঞ্চলে।
স্থানীয় গভর্নর ডেভিড আইজ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং এই ঘটনাকে মানবিক ভুল বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া বলেছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিসাইলের আওতায় রয়েছে।
জাআ / শুকি
