
দেশের এক হাজার মাদ্রাসা ও শতাধিক ইসলামি বক্তার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে কথিত ধর্ম ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির তদন্তের আহ্বান জানায় গণকমিশন নামে একটি উদ্যোগ।
তবে গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আজ হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এদিকে, গণ-কমিশন নিয়ে পরষ্পরবিরোধী অবস্থানে সরকার, মনে করছেন ওই কমিশন সংশ্লিষ্টরা।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় গণ-কমিশন। ২০২১ সালে মার্চ মাসে যাত্রা করা এই উদ্যোগটির উদ্দ্যেশ্যে, বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনাগুলোর তদন্ত।
টানা ৯ মাস তদন্তের পর ১২ মার্চ তারা প্রকাশ করে শ্বেতপত্র। যার নাম, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২ হাজার দিন। কিন্তু বিষয়টি আলোচনায় আসে তারও মাস খানেক পর। যখন তারা দুদকে ১১৬ জন মুসলিম ধর্মীয় বিদ্বানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
দেশব্যপী ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষাপটে এই নিয়ে আজ কথা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এমন বক্তব্যে অবাকই হয়েছেন, গণ-কমিশনের সদস্য সচিব তুরিন আফরোজ। তার মতে, যিনি উদ্বোধন করেছেন, তিনিই এখন প্রশ্ন তুলেছেন!
গণ কমিশন সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফিরোজ বলেন, গণ-কমিশনের আইনি ভিত্তি আছে, এমনটি তারা কখনোই দাবী করেননি। তাদের চাওয়া, অন্যান্য শ্বেতপত্রের মতো এক্ষেত্রেও অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখবে সরকার।
আব্দুল্লাহ শাফী/ফই
