
গাজীপুরে কেনো হারলো নৌকার প্রার্থী? এমন প্রশ্নে ভোটের মাঠে দলের দায়িত্বে থাকা নেতারা অনেকটা চুপচাপ। সমন্বয় দলের উপদেষ্টা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বলছেন, স্থানীয় নির্বাচনে, স্থানীয় কৌশলই কাজ করে বেশি। তবে, এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা।
জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটিতে ভোটের মহড়া। দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে হবে। এমনই প্রতিজ্ঞা ছিলো আওয়ামী লীগের। আর নিরপেক্ষতা প্রমাণের দুর্গম যাত্রায়, সরকার ও নির্বাচন কমিশন।
হয়ে গেলো গাজীপুর সিটি নির্বাচন। ১৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারলেন নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। মেয়র হলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। বলা যায়, স্ব-শিক্ষিত, সত্তরোর্ধ এই নারীর রাজনীতির হাতেখড়ি, এই সিটি নির্বাচনেই।
প্রবীণ ও ত্যাগী আওয়ামী লীগার আজমত উল্লা। তার হয়ে মাঠে নামে, সভাপতিমণ্ডলী ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে গড়া, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দল।
এতোকিছুর পরও কেনো নৌকার হার? সমন্বয়কের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে সাত জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নাগরিক টিভি। ৩ জনের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বাকিরা দলের সাধারণ সম্পাদক প্রতিক্রিয়া দেয়ার আগে, মন্তব্য করতে নারাজ। একজন বলেন, তিনি সংসদ সদস্য হওয়ায়, এ বিষয়ে তার মন্তব্য করা সাজে না।
গাজীপুরে স্থানীয় ১২ জন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে নাগরিক টিভি। কথা বলতে চান না কেউই। ক্যামেরার বাইরে একজন জানালেন, আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করে, দলীয় পদ হারাতে চান না।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি গাজীপুরে নৌকার প্রার্থীর সমন্বয়ক দলের উপদেষ্টা। নাগরিকের সঙ্গে কথা বললেন মোবাইল ফোনে। জানালেন, চিন্তার কথা।
তিনি মনে করেন, নৌকা হারলেও, জিতেছে সরকার। এবার বাকি চার সিটিতে, অবাধ-সুষ্ঠু ভোটের দুর্গম যাত্রার পালা। দেখা যাক, কোন কৌশল নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আব্দুল্লাহ শাফী/ফই
