
জাতীয় পরিচয়পত্র কার অধীনে থাকবে, তা নিয়ে দোলাচল কাটছে না। নির্বাচন কমিশন বলছে, এই দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে দেয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপ্রধান যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা-ই মেনে নেবে ইসি।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রথম ভোটার পরিচয়পত্র তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়। যা ছিলো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির অংশ। এই দাবি তুলেছিলো রাজনৈতিক দলগুলো।
তখন সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন কমিশন ডাটাবেজ তৈরি করে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছিল। ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন করে কমিশনকে আইনগতভাবেও এই দায়িত্ব দেয়া হয়।
এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই দায়িত্ব চলে যাওয়ার আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এদিকে, দায়িত্ব ছাড়তে নারাজ নির্বাচন কমিশন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিতে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে। ইসি বলছে, এনআইডি চলে গেলে এর নাম হবে ভোটার আইডি।
এনআইডি সরকারের অধীনে চলে গেলেও ভোটার সার্ভার দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা ইসির সম্পদ। তবে তথ্য ব্যবহার করতে চাইলে দেয়া যাবে, বলছে নির্বাচন কমিশন।
