
কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে দেশব্যাপী। গণপরিবহন সংকটে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রাজধানী ঢাকার মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও বাস চলাচল কম। রাস্তায় নামছে না অনেক গণপরিবহন। যেগুলো চলছে তাতেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বেশি।
ভাড়া পূণ:নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নগরীতে বাস না চালানোর ঘোষনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। পরিবহন শ্রমিকরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভও করেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রাতে খুলনায় পাম্পগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যানবাহন চালকরা। তবে দিনের দৃশ্য একেবারেই আলাদা। পাম্পগুলো নতুন দামে তেল বিক্রি করায় ভীড় নেই বললেই চলে।
দাম বৃদ্ধির সংবাদে রাতেই চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বেশির ভাগ পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। এ সময় পাম্প মালিকদের সঙ্গে চালকদের বাকবতিন্ডাও হয়। তবে সকাল থেকে নতুন দামে সব পাম্পেই তেল পাওয়া যাচ্ছে।
উত্তরের জেলা বগুড়ায় বেশির ভাগ বাসমালিকরা, বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে বগুড়া থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি।
নরসিংদীতেও খালি রাস্তাঘাট। নামেনি অনেক গণপরিবহন। ফলে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পরিবহন চালকদের দাবী, ভাড়া না বাড়ালে আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি।
পরিবহন সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির মানুষ। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল।
সিরাজুম মুনির/ফই
