
মাদারীপুরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ, চালকের ক্লান্তিকে দায়ী করা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে টানা ৩৩ ঘণ্টা ঘুমাননি চালক জাহিদ। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৯ জন। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, মামলাও করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
১৯ মার্চ রোববার। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের ১৭ জনের নাম-পরিচয় মিলেছে। আহত আরো অন্তত ২৫ জন।
গতকাল বিকেলে চালক জাহিদের ছেলে রাতুল হাসান বাবার মরদেহ শনাক্ত করতে আসেন। তিনি জানা, মাসে দুই দিন বাড়ি আসতেন জাহিদ। সব সময় ক্লান্ত থাকতেন। গত পরশুই ঢাকা, পিরোজপুর, খুলনা রুটে পাঁচটি ট্রিপে গাড়ি চালিয়েছেন। কথা ছিলো রোববার ঢাকার থেকে বাসায় ফিরে এক দিন বিশ্রাম নেবেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা বলছেন, দুর্ঘটনার আগে চাকা বিষ্ফোরিত হয়েছিলো বাসটির। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়া ইমাদ পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
