
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে এনবিআরের দেয়া আয়কর নোটিশ বৈধ, রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে, ড. ইউনূসকে ১২ কোটি টাকার আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হতেই ট্রাস্ট করেছেন ডক্টর ইউনুস। মৃত্যুর চিন্তায় দান করা তার কৌশলমাত্র।
নিজের প্রতিষ্ঠিত ইউনুস ট্রাস্ট, ইউনুস ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনুস সেন্টার ট্রাস্ট নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানে ৭৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা দান করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস ।
ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস ১৯১১ থেকে ১৯১৩ তিন করবর্ষে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা দানকর আরোপ করে। মওকুফ চেয়ে সেখানে আবেদন করে বিফল হন ড. ইউনুস।
কর ট্রাইবুনালেও আবেদন করেন। সেখানেও সাফল্য আসেনি। ২০১৫ সালে আদালতে আরও তিনটি আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে ১২ কোটি টাকা কর দিতে হবে বলে রায় দেয় আদালত।
আদালত বলেন, মৃত্যুচিন্তা থেকে দান করার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং কর ফাঁকির কৌশল নিয়েছেন তিনি।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ড ইউনুসের আইনজীবী। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমসহ তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের অর্থ দুর্নীতি ও পাচারের অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক।
ফারাহ্ হোসাইন/ফই
